মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৭


ভিনসেন্ট কোলম্যান: যার আত্মাহুতি বাঁচিয়েছিল হাজারও মানুষের প্রাণ

Vince_coleman-face-pre1917 

vlcsnap-2017-01-25-14h46m35s019 

vlcsnap-2017-01-25-14h49m14s711 

Halifax_Explosion_blast_cloud_restored 

imo1 

c019953 

25_25_carbin408 

Panoramic_view_of_damage_to_Halifax_waterfront_after_Halifax_Explosion,_1917 

 

2.thecollision2 

 

vince_coleman_wallet_pen_telegraph_key 

          

আদালতের হুকুমে হত্যা করা হয়েছিল যে নির্দোষ প্রাণগুলো
Saint_Côme_&_Saint_Damien 
CosmasDamianfraangelico 
SigSto_MarionPortrait 

SigSto_Marion (1) 

Jeanne_d'Arc_-_Panthéon_II (1) 

Stilke_Hermann_Anton 
Cameron_Todd_Willingham 

Witchcraft_at_Salem_Village 
Bridget-Bishop 

         
 প্রাচীন পৃথিবীর অমীমাংসিত কিছু মৃত্যু-রহস্য
1 
তুতেনখামুনের ডেথ মাস্ক 

রাজা তুতের মমি 
4 
জেবেল সাহাবাতে পাওয়া আরো এক জোড়া কঙ্কাল 
কান্‌গ্রান্দ দেলা স্কেলার প্রতিকৃতি 
কান্‌গ্রান্দের মৃতদেহ 
8 
9       

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৭

৮ উপায়ে ঘটতে পারে পৃথিবীর মৃত্যু

 বিজ্ঞান বলে, সবকিছুই নশ্বর। পৃথিবীতে প্রাণ টিকে রয়েছে ভারসাম্য রক্ষার জন্য। কিন্তু এদের অস্তিত্ব টলায়মান। আমাদের পরিবেশ, সূর্য এবং আরো অন্যান্য প্রাকৃতিক বিষয় কেবল প্রাণ রক্ষার জন্যই নয়, এগুলো ধ্বংসের কারণও হতে পারে। আমরাদের বেঁচে থাকা কোনো অসাধারণ অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা নয়। কিন্তু এর সবই শেষ হতে পারে নিমিষেই। এই গ্রহটি মারা যেতে পারে ৮টি কারণে। এই কারণগুলোই জেনে নেওয়া যাক। প্রথম কারণটি হলো পৃথিবীর অভ্যন্তরের উত্তপ্ত অংশটি শীতল হয়ে যেতে পারে। গ্রহের চারপাশে রয়েছে চৌম্বক ক্ষেত্র যাকে বলা হয় ম্যাগনেটোস্ফিয়ার। এই ক্ষেত্র তৈরি হয় পৃথিবীর ঘূর্ণন থেকে। ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকে শক্তিশালী কণা বেরিয়ে আসে যা পৃথিবীর আকৃতিকে ঠিক রাখে। ভেতরটা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার হারাবে পৃথিবী। এতে বায়ুমণ্ডর বিস্ফোরিত হবে মহাশূন্যে। বিলিয়ন বছর আগে এমন ঘটনার কারণেই মৃতপ্রায় হয়ে গেছে মঙ্গল।

 

 

 

 

 

 

 

সূর্য মরে যেতে পারে এবং এর বিস্তৃতি ঘটতে পারে। প্রাণের অস্তিত্বের পেছনে পৃথিবী গ্রহের সঙ্গে সূর্যের দূরত্ব ও অস্তিত্ব অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সূর্য আসলে নক্ষত্র আর এরা মারা যায়। বর্তমানে সূর্য তার মধ্যবয়সে রয়েছে। ফিউসনের মাধ্যমে হাইড্রোজেনকে হিলিয়ামে রূপান্তরিত করছে। বিলিয়ন বছর পর এমনটা থাকবে না এবং তখন সূর্য মরে যাবে। এর বাইরের অংশের বিস্তৃতি ঘটবে এবং পৃথিবীকে তার দিকে টানতে থাকবে। আবার সূর্যের বিস্তৃতিতে পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাবে।

 

 

 

 

এ পৃথিবী একটা মৃত কক্ষে বসে যেতে পারে। অনেক সময় গ্রহ তার সৌরজগতের কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে আসে। এক হিসাবে বলা হয়, মিল্কিওয়ের প্রতি ১ লাখ গ্রহের মধ্যে একটি গ্রহ কক্ষচ্যুত হয়। কাছের গ্রহগুলোর সঙ্গে সমস্যার কারণে এমনটাই ঘটতে পারে।

 

 

 

 

কক্ষচ্যুত কোনো গ্রহ পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। কিংবা পাশ কাটিয়ে গেলেও পৃথিবীর কক্ষপথ নষ্ট করে দিতে পারে। ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে এমনই দুই গ্রহের সংঘর্ষে পৃথিবী এবং চাঁদের সৃষ্টি হয়।

 

 

 

 

গ্রহাণু এই পৃথিবীকে ধ্বংস করতে পারে। মহাশূন্য থেকে ছুটে আসা পাথরখণ্ড মারাত্মক ধ্বংসলীলা ঘটাতে সক্ষম। এমনই এক ঘটনায় বিলুপ্ত হয় ডাইনোসর। আরো বড় কিছু হামলে পড়লে গোটা পৃথিবী শেষ হতে পারে। পৃথিবী গঠনের কয়েক শত হাজার বছর পর গ্রহাণুরা আঘাত হানে পৃথিবীতে। তখন সাগর টানা এক বছর পর্যন্ত ফুটন্ত অবস্থায় ছিল।

 

 

 

 

 

 

 

কোনো ব্ল্যাক হোলের কাছাকাছি চলে যেতে পারে পৃথিবী। এ গ্রহের মৃত্যুর জন্য দ্বিতীয় কারণ হিসাবে উঠে আসে কৃষ্ণগহ্বরের কথা। এর সম্পর্কে খুব বেশি না জানলেও এতে হারিয়ে যায় সবকিছু। যদি কোনো ব্ল্যাক হোলের কাছাকাছিও আসে পৃথিবী, তবুও এতে ঘটে যেতে পারে নানা মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

 

 

 

 

যেকোনো গামা রশ্মির বিস্ফোরণে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। মহাশূন্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্যোগের একটি গামা রশ্মির বিস্ফোরণ। এমন বিস্ফোরণে সূর্যের কার্যক্রম উল্টে যেতে পারে আজীবনের জন্য। মনে করা হয়, আজ থেকে ৪৪০ মিলিয়ন বছর আগে এমন বিস্ফোরণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় পৃথিবী।

 

 

 

 

গোটা মহাশূন্য বিধ্বস্ত হতে পারে। শুধু পৃথিবী নয়, গোটা ব্রহ্মাণ্ড শেষ হতে পারে। ডার্ক এনার্জি নামের এক বিশেষ শক্তি গোটা ব্রহ্মাণ্ডকে দ্রুততার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে। এমন চলতে থাকলে হয়তো ২২ বিলিয়ন বছর পর ব্রহ্মাণ্ডের সব বস্তু ধ্বংস হবে। হয়তো কিছু জীবাণু আরো জটিলতর প্রাণ গঠন করবে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার